আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, স্টাফ রিপোর্টার:-
রংপুরের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বারিক (গ্যাস) পাইপ উপড়ে ভাংচুর করায় প্রায় ৩০ একর ইরি-বোরো ক্ষেত বিনষ্টের আশংকা দেখা দিয়েছে। ফলে অর্ধশতাধিক চাষীদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের ছিলিমপুর মৌজায়।
অভিযোগে জানা গেছে, ছিলিমপুর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র ওয়াহেদ আলী গত ২০০২ সালে বিআরডিসি কর্তৃক সমবায়ের মাধ্যমে গ্রাম সংলগ্ন ঐ গভীর নলকুপটি গ্রহণ পূর্বক স্বার্থকতার সঙ্গে চালিয়ে আসছিলেন।
বিদ্যুৎ চালিত ঐ গভীর নলকুপের আওতায় প্রায় দেড় শতাধিক চাষীদের ৫০ একর জমি চাষাবাদ হয়।
বছর কয়েক পূর্বে একই গ্রামের মৃত ফজলার রহমানের পুত্র আব্দুর ছালাম ঈর্ষান্নিত হয়ে উক্ত গভীর নলকিপের প্রায় ২’শ গজ এলাকায় একটি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকুপ স্থাপনের চেষ্টা করে।
এতে গভীর নলকুপের ম্যানেজার ওয়াহেদ আলী বাধা প্রদান করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আব্দুর ছালামসহ তার সহোদর ভাই শফিকুল ইসলাম,
গোলাম মোস্তফা ও মৃত মোজাম্মেল হকের পুত্র মন্জুর হোসেন।
তারা ম্যানেজার ওয়াহেদ আলী ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ভয়-ভীতি, মিথ্যা মামলা-মোকর্দমাসহ প্রাণনাশের হুমকী অব্যাহত রেখেছে।
এক পর্যায়ে আব্দুর ছালাম গংরা ভূয়া কাগজ-পত্র ও বিআরডিসি’র নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে বিদ্যুতের একই
খুঁটির একই ট্রান্সফর্মা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে অগভীর নলকুপটি চালু করে নিজস্ব জমি চাষাবাদ করছেন।
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চলতি ইরি-বোবো’র ভরা মৌসুমে আব্দুস ছালাম ও তার লোকজন রাতের অন্ধকারে
গভীর নলকুপটির কয়েকটি বারিক (গ্যাস) পাইপ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।
শুধু তাই নয়, ঐ পাইপের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা প্রবেশ করিয়ে পানি যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৫দিন ধরে পানি সেচ দেয়া বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও একাধিকবার ছাবল দিয়ে মাটির নিচে থাকা প্লাষ্টিকের পাইপের বিভিন্ন স্থানে ফুটা করে সেচ কাজ ব্যাহত করেছে।
অনেক ইরি-বোরো চাষী এখন পর্যন্ত পানির অভাবে জমিতে হাল লাগাতে পারেনি।
কেউ কেউ আবাদ করলেও পানির অভাবে আগাাছা নাশক পর্যন্ত প্রয়োগ করতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে ভাবনচুড়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন, ভাইরে!
৬ বিঘা জমি আবাদ করেছি, পানি না থাকায় জমিগুলো লালচে বরন ধারণ করেছে।
ধানের চারা লাগানোর সময় একবার পানি পেয়েছি কিন্তু আর পানি পাইনি।
ছিলিমপুর গ্রামের কৃষক মনুহার হোসেন আক্ষেপ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার মাত্র ৩ বিঘা জমি, তার মধ্যে ১ বিঘা জমিতে পানি-ই পাইনি, আবাদ করবো কবে?
পশ্চিমপাড়া শাল্টি গ্রামের ফজলুল করিম বলেন, প্রতিহিংসার কারণে বুঝি এবার ইরি-বোরো আবাদ ঘরেই তুলতে পারবো না।
ভুক্তভোগীরা সেচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।